2 Views· 10/19/23· News & Politics

এ কেমন নকলবাজ, ভয়ানক | Daily Issues | নকল | কাপ্তান বাজার | Vokta odhikar


news
Subscribers

#daily_issues #vokta_odhikar #অভিযান #নকল #কাপ্তানবাজার
আসল-নকল বোঝার উপায় নেই, প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তা

আর কতভাবে মানুষ প্রতারিত হবে। এমন সব পণ্য নকল হচ্ছে যা কখনই ভাবেন নি আপনি। সকলকে ফাকি দিতে পারলেও ভোক্তা অধিদপ্তরকে ফাকি দিতে পারেনি। কিভাবে ধরা পড়লো দেখুন ভিডিও তে।

আপনি ক্রেতা হিসেবে যা কিনছেন, তা আসল না নকল জেনে কিনছেন তো? যতই শিক্ষিত বা চালাক হোন না কেন আপনি প্রতারিত হবেনই। ‘পণ্য কিনলে ভোক্তা প্রতারিত হবে’ এটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এমন ভাবে বিভিন্ন পণ্য নকল করা হচ্ছে যা দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটি আসল আর কোনটি নকল। অনেক সচেতন ক্রেতাও নিজের অজান্তেই নকল পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সব পণ্যের নকল করা হচ্ছে যা ভোক্তাদের ধারণারও বাইরে।

এটি রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকা। এই এলাকার মার্কেটগুলোতে হার্ডওয়ারের দোকান সব চেয়ে বেশি। রাজধানীবাসী একটু কম দামের আসায় এই মার্কেটগুলোতে ভির করেন। কিছুটা সাশ্রয়ী হতে এসে অনেকটা না বুঝেই নকল পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দাম একই নিলেও পণ্য দিচ্ছে নকল।

রক, লাইজল, ফিনিস, হারপিকসহ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ফ্লোর ও টয়লেট ক্লিনারের মত পণ্যও নকল হচ্ছে। এসব নকল পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে রাজধানীর কাপ্তান বাজারের হার্ডওয়ারের দোকানগুলো। খুচরা এবং পাইকারী বেশকিছু দোকানে মিলেছে নকল পণ্য।

নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং সহকারী পরিচালক মো. মাগফুর রহমান।

কাপ্তান বাজারে নকল ফ্লোর ও টয়লেট ক্লিনার পাওয়া যায়, এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি দোকানে তদারকি করা হয়। তবে মূল অপরাধীকে ধরতে আরও জোরালো অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। মার্কেটের বিভিন্ন দোকান খুঁজে অবশেষে সন্ধান পাওয়া যায় আসল অপরাধীর। কাপ্তান বাজারের সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মমিন হার্ডওয়্যার নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশেই ছড়িয়ে যেত এসব নকল ফ্লোর ও টয়লেট ক্লিনার।

অভিযানে দেখা যায়, রক, লাইজল, ফিনিস, হারপিকসহ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ফ্লোর ও টয়লেট ক্লিনার নকল করে বিক্রি করছিল মমিন হার্ডওয়্যার। ভোক্তা কর্মকর্তারা হাতেনাতে এমন অপরাধের প্রমাণও পায়।

দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় জার থেকে প্লাস্টিকের নকল বোতলে ফ্লোর ও টয়লেট ক্লিনার ঢুকানো হচ্ছে। বোতলের গাঁয়ে চকচকে মোড়ক লাগিয়ে দেওয়ার পর বোঝার উপায় নেই কোনটি আসল-কোনটি নকল। দোকানে বেশকিছু নকল পণ্যের মজুদও দেখা যায়। নকল এসব পণ্য মোড়কজাত করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই পাওয়া যায় ওই দোকানে।

নকল পণ্য তৈরি এবং বাজারজাত করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং জনস্বার্থে মমিন হার্ডওয়্যারের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অপরাধের বিষয়ে নিজের দোষ মানতে নারাজ ব্যবসায়ী।

#ভোক্তা_অধিকার_অভিযান #ভোক্তা_অধিকার #vokta_odhikar_ovijan #vokta_odhidoptor_ovijan #ভোক্তা_অধিদপ্তরের_অভিযান

Show more

Up next


0 Comments